আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের কুঠিবাড়ি গ্রামে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের কাছে বাংলাদেশের ভেতর থেকে ভারতীয় এক নাগরিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা রোববার সকালে গুলিবিদ্ধ লাশটি উদ্ধার করেছেন।
বিকেলে আদিতমারী থানার পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিহত ব্যক্তির নাম সেরাজুল হক (৩৭)। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার টুতিয়ারখুটি গ্রামের নজো মিয়ার ছেলে। তাঁর শরীরে গুলির গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
সন্ধ্যায় পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দূর্গাপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ৯২৪/১২ এস-এর কাছে ভারতের অভ্যন্তরে ৭৫ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের পদ্মা ক্যাম্প এলাকায় শনিবার গভীর রাতে চারটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির বিশেষ টহল দলের সদস্যরা ওই এলাকায় তৎপর ছিলেন। এ সময় সেখানে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের চলাচল বা আনাগোনা চোখে পড়েনি। এরপর রোববার সকালে স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে দুর্গাপুর বিওপির কমান্ডার জানতে পারেন, বাংলাদেশের ২০০ গজ ভেতরে কুঠিবাড়িতে একটি গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশি নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে পাওয়া নিহত ব্যক্তির ভারতীয় পরিচয়পত্র এবং রেশন কার্ডের ফটোকপি রোববার দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পদ্মা বিএসএফ ক্যাম্পকে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত করে ভারতীয় পুলিশকে মরদেহটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোক্তারুল ইসলাম বলেন, মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি নিয়মিত মামলা করার প্রক্রিয়া চলমান।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এস এম তৌহিদুল আলম বলেন, নিহত ব্যক্তি ভারতীয় নাগরিক, বিএসএফের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলে বাংলাদেশের পুলিশের মাধ্যমে ভারতের পুলিশকে মরদেহটি হস্তান্তর করা হবে।